নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশার ইউনিয়নের আমাদা গ্রামের আন্ধার কোটা বিলে অপরিকল্পিত ভাবে ঘের খনন করায় এলাকার হাজার হাজার একর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এলাকার ৮ দশটির বিলের পানি আন্ধার কোটার বিল হয়ে বিল চাচড়ী খাল দিয়ে মধুমতি নদীতে সংযোগ হয়েছে।

গত দুই বছর আন্ধার কোটার বিলে অপরিকল্পিত ভাবে মাছেরঘের হওয়ার কারণে ঐ আট দশটির বিলে জলাবদ্ধাত হওয়ায় মাঠে কোন ফসল হয় না।

এ ব্যাপারে এলাকা বাসী ও কৃষকরা বলে আমাদের আয়ের এক মাত্র উৎস ধান চাষ। আমরা চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাঠে ধান বপন করেছিলাম মাঠের ধান গুলি ১২-১৪ ইঞ্চি লম্বা হয়েছিলো। অপরিকল্পিত মাছের ঘের খননের কারণে জলাবদ্ধাতায় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে কারোনা ভয়াল থাবায় সারা বিশ্ব আতংকিত মানুষ বেরোতে পারছে না ঘর থেকে,অন্যদিকে আমাদের ধানের জমি পানির নিচে।এ যেন মরার উপর খাড়া ঘা।

কৃষক জাহিদ,কৃষক পান্নু, কৃষক মন্টু, কৃষক আজিজার মল্লিক সহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের এই আন্ধার কোটার বিল দেশি সকল প্রজাতির মাছের খনি,ঘের মালিকরা ঘের খনন করে দেশি মাছ আহরন করছে যা থেকে আমরা বন্চিত, আমরা দেখেছি প্রতি বছর মাঘ,ফাল্গুন মাসে দেশি মাছ শিকার করার জন্য দুর দুরান্ত থেকে শত,শত মাছ শিকারিরা পলো নিয়ে বাওড় নামতো সেগুলা এই ঘের মালিকেরা কেড়ে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জেলা প্রশাসক মহাদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এর কোন বিহিত ব্যবস্থা না হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোন গতি নাই। স্থাথানীয় কৃর্ষকরা মাছের ঘের মালিকদের সাথে আলোচনায় বসলে ও তার কোন সুরাহ হয়নি। অবশেষে বুধবার ২৩ জুন কৃর্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মাছের ঘেরেরপাড় কেটে দেয়।

এনিয়ে কৃর্ষক ও মাছ চাষিদের মধ্যে উত্তজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ঘের মালিক মিন্টু মিয়া বলেন, জলাবদ্ধাতায় কৃর্ষকরা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে কৃর্ষকরা আমাদেরকে না বলে ঘেরেরপাড় কাটায় আমরা ও ক্ষতি গ্রস্থ।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভীন বলেন, ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নিবো।